চেতলাতেই ছোট থেকে বড় হওয়া। আপনারা সবসময় আমায় সমর্থন করেছেন। সাতবার আমি এমপি হয়েছি। দক্ষিণ কলকাতার মানুষ হিসেবে আমি আপনাদের সমর্থন পেয়েছি ৬ বার। এর জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমার ভাগ্যেই ছিল ভবানীপুর থেকে জিতব। ভবানীপুর থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হব। পরপর জায়গায় মার খেয়েছি। আমাকে জীবন্ত লাশ বলতে পারেন।
এবারেও আমার প্রচারের সময় পায়ে চোট দেওয়া হয়।’ বুধবার ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপ-নির্বাচনের প্রচারে এসব কথা বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। মমতা বলেন, ‘নন্দীগ্রামে দরজাটা যেভাবে চেপে ধরেছিল, গলাটা কাটা যেতো। পা-টা ঠিক হয়নি, কিন্তু জেদে চলি আমি। যেদিন থেকে বিজেপি এসেছে, সেদিন থেকেই ওদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি। ওরা একটা দানবীয় পার্টি।’
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে আমার তেমন কিছু নেই। এ দশ বছরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আমি যা পাই, সেটা নিলে দুই-আড়াই কোটি টাকা হয়ে যেতো। আর এরা (বিজেপি) আমার বিরুদ্ধে সিবিআই (ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা), ইডি (অ্যানফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট) করে বেড়াচ্ছে। আবার অনেকে ভাবে, এরা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে গেছে, তাই অনেক আনন্দে আছে। এখন আমাকে সারাক্ষণ জেগে থাকতে হয়। সবচেয়ে বেশি কষ্ট আমাদের করতে হয়।’
‘আমি মরে যাব, তবু যা কথা দিয়েছি সেটা করেই যাব। আজ বাংলা এগিয়ে চলেছে। দিল্লি নোটবন্দি করে টাকা আটকে রাখতে চায়। কিন্তু আমি চাই, টাকা যেন মার্কেটে ঘুরে। কারও কাছে কখনো ভিক্ষা চাইনি, মাথা উঁচু করেই চলেছি’,- বলেন মমতা ব্যানার্জী।
উপস্থিত ভোটারদের উদ্দেশে মমতা আরো বলেন, আগামী দিন লড়ার প্রেরণা চাই। আপনারা প্রেরণা দিলে আমার লড়াই চলবে। ২০১৪ থেকে এ লড়াই চলছে। যতদিন না দিল্লির মাটি থেকে ওদের (বিজেপি) সরাতে পারছি, ততদিন এ লড়াই চলবে।